লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল মাছুম।
একজন মুসলমানের নিকট হালাল ও হারামের গুরুত্ব যে কতখানি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হালাল পথই হল আলোকিত পথ। হারাম হল অন্ধাকার পথ। হালাল একজন মুমীনকে জান্নাতের পথ দেখায়। আর হারাম জাহান্নামের পথ দেখায়।
—————————————-
গত শুক্রবার ইসলামী অর্থনীতি ফোরামের প্রথম মিট আপ অনুষ্ঠানে উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনার সুযোগ হয়েছিল।
অনেকেই বলছেন,উক্ত আলোচনাটি পোষ্ট আকারে দিতে। জ্ঞানী মাত্রই জানেন, বক্তব্য দেয়া আর লেখা এক নয়। কিছু বলা সহজ। তবে কিছু লেখা বেশ কঠিন। এরপর তা যদি হয় শরীয়া তাহলে তো আরো জটিল। তবে বিষযটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। হালাল-হারাম জেনে যারা চলতে চান তাদের জন্য বেশ দরকারী একটি বিষয়। তাই এ বিষয়ে লিখার ইচ্ছা করেছি।
—————————————————-
এ বিষয়ে বলার জন্য যে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এখন তা লেখার জন্য আমাকে তিনগুণ বেশি প্রস্তুতি নিতে হচ্চে।
ঘাটাঘাটি করে দেখলাম, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে যারা কলম ধরেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন-
ক. ইমাম মুহাম্মদ রাহ.। এ বিষয়ে তাঁর কিতাব “ কিতাবুল কাসব”।
খ. ইমাম গাযালী রহ.। তিনি তাঁর বিখ্যাত কিতাব “ইয়াহইয়া য়ু উলুমিদ্দীন’’ কিতাবের একটি অধ্যায়ে এ বিষয়ে চমতকার আলোচনা করেছেন।
গ. ইমাম ইবনে তাইমিয়ার রহ.। এ বিষয়ে তার দীর্ঘ একটি ফতোয়া আছে।
পূর্ববর্তীদের মধ্যে আরো আছেন-ইবনে হাযম রহ.,ইবনুল মুনযির রহ. প্রমুখ মণীষী।
আর পরবর্তীদের মধ্যে আছেন-
ক. শায়েখ ইউসূফ কারযাভী হাফিযাহুল্লাহ। তাঁর কিতাব,“ আল হালাল ওয়াল হারাম ফিল ইসলাম”
খ. মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানী হাফিযাহুল্লাহ্ । তাঁর কিতাব, আলহালাল ওয়াল হারাম।
গ. শাইখুল ইসলাম তাকী উসমনী হাফিযাহুল্লাহ। এ বিষয়ে হযরতের সুনির্দিষ্ট কোন রেসালা নযরে পড়েনি। তবে তার বিভিন্ন লেখায়, মাওয়ায়েযে (লেকচার) কিছু উপকারী আলোচনা আছে।
এছাড়া আছে- উপমহাদেশের ইসলামীক স্কলার ও মুফতীয়ানে কেরামের অমূল্য ফতোয়া সমগ্র।
সব মিলিয়ে লিখতে চাচ্ছি। বুঝাই যাচ্ছে এর জন্য বেশ সময় দরকার। পাঠকের ধৈর্য্যও দরকার। তাই চিন্তা করছি, লেখাটি পর্বভিত্তিক সাজাবো।
প্রতি সপ্তায় একটি পর্ব পোষ্ট করব ইনশাআল্লাহ।
দয়াময় আল্লাহ একে উপকারী বানিয়ে দিন। লেখাটা সম্পন্ন করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
সহযোগিতায়ঃ ইসলামী অর্থনীতি ফোরাম, বাংলাদেশ।
Comments