আল্লহ তায়া’লা ও তাঁহার রসুল সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের এতাআত বা আনুগত্য সম্পর্কে কুরআনের আয়াত-৪

يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنفَالِ ۖ قُلِ الْأَنفَالُ لِلَّـهِ وَالرَّسُولِ ۖ فَاتَّقُوا اللَّـهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ ۖ وَأَطِيعُوا اللَّـهَ وَرَسُولَهُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ﴿١﴾ إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّـهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ ﴿٢﴾الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ ﴿﴾٣

তাহারা আপনার নিকট গনীমতসমূহের বিধান জিজ্ঞাসা করেতেছে। আপনি বলিয়া দিন, এই গনীমতসমূহ আল্লহ তায়া’লা ও রসূলের জন্য, অতএব তোমরা আল্লহ তায়া’লাকে ভয় কর এবং তোমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের সংশোধন কর, আর আল্লহ ও রসূলের অনুসরণ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও। নিশ্চয় ঈমানদারগণ তো এইরূপ হয় যে, যখন (তাহাদের সম্মুখে) আল্লহ তায়া’লার নাম উচ্চারণ করা হয় তখন তাহাদের অন্তরসমূহ ভীত হইয়া পড়ে, আর যখন তাহাদিগকে আল্লহ তায়া’লার আয়াতসমূহ পড়িয়া শুনান হয় তখন সেই আয়াত তাহাদের ঈমানকে আরও বৃদ্ধি করিয়া দেয়, আর তাহারা নিজেদের পরওয়ারদিগারের উপর নির্ভর করে, যাহারা নামাযের পাবন্দী করে এবং আমি যাহা কিছু তাহাদিগকে দিয়াছি উহা হইতে ব্যয় করে। ইহারাই সত্যিকার ঈমানদার; ইহাদের জন্য রহিয়াছে উচ্চ পদসমূহ তাহাদের রবের নিকট, আর ক্ষমা ও সম্মানজনক রিযিক। (সূরা আনফালঃ ১-৩)

وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۚ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّـهَ وَرَسُولَهُ ۚ أُولَـٰئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّـهُ ۗ إِنَّ اللَّـهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

আর ঈমানদার পুরুষগণ ও ঈমানদার নারীগণ পরস্পর একে অপরের বন্ধু। তাহারা সৎ বিষয়ে আদেশ করে এবং অসৎ বিষয় হইতে বারণ করে, আর নামাযের পাবন্দী করে এবং যাকাত প্রদান করে, আল্লহ তায়া’লা ও তাঁহার রসূলের আদেশ মানিয়া চলে; এই সমস্ত লোকের প্রতি আল্লহ তায়া’লা অবশ্যই রহমত বর্ষণ করিবেন। নিঃসন্দেহে আল্লহ তায়া’লা অতিশয় ক্ষমতাবান, হিকমাতওয়ালা। (সূরা তওবাহঃ ৭১)

قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّـهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّـهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّـهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

আপনি বলিয়া দিন, যদি তোমরা আল্লহ তায়া’লার সঙ্গে ভালবাসা রাখ তবে তোমরা আমার অনুসরণ কর, আল্লহ তায়া’লা তোমাদিগকে ভালবাসিবেন এবং তোমাদের যাবতীয় গুনাহ মাফ করিয়া দিবেন। আল্লহ তায়া’লা খুব ক্ষমাশীল, বড় করুণাময়। (সূরা আল-ইমরনঃ ৩১)

لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّـهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّـهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّـهَ كَثِيرًا

আল্লহ তায়া’লার রসূলের মধ্যে এক উত্তম আদর্শ রহিয়াছে তোমাদের জন্য, অর্থাৎ সেই ব্যক্তির জন্য, যে আল্লহ তায়া’লা ও শেষ দিবস হইতে ভয় রাখে এবং অধিক পরিমাণে আল্লহ তায়া’লা যিকির করে। (সূরা আহ’যাবঃ ২১)

مَّا أَفَاءَ اللَّـهُ عَلَىٰ رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَىٰ فَلِلَّـهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ كَيْ لَا يَكُونَ دُولَةً بَيْنَ الْأَغْنِيَاءِ مِنكُمْ ۚ وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا ۚ وَاتَّقُوا اللَّـهَ ۖ إِنَّ اللَّـهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

আর রসূল তোমাদিগকে যাহা দান করেন তাহা গ্রহণ কর আর যাহা হইতে তোমাদিগকে নিষেধ করেন তাহা হইতে বিরত থাক। (সূরা হাশরঃ ৭)

আরো পড়ুন পোস্ট করেছেন

Comments

লোড হচ্ছে...
শেয়ার হয়েছে