রুপসজ্জায় আদার ৫টি অজানা উপকারিতা!

সাধারণত আদা মশলা হিসেবে পরিচিত। আদা কুচি বা আদা বাটা খাবারের স্বাদ বাড়ায়। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আদা আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। আদা পেটের যে কোনও সমস্যা ও সর্দি-কাশি নিরাময়ে বেশ সহায়তা করে। নানা স্বাস্থ্যগুণের পাশাপাশি আদার বেশ কিছু সৌন্দর্য উপকারিতাও রয়েছে।

জেনে নিন আদার অচেনা কিছু সৌন্দর্য উপকারিতা-

১। বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে

আদার মধ্যে অ্যান্টিএইজিং উপাদান রয়েছে যা ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে। এছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের টক্সিন দূর করে, দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে এবং ত্বকের সতেজ ভাব ধরে রাখে। তাই প্রতিদিন সামান্য আদা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে চেহারায় দীর্ঘদিন বলিরেখা পড়বে না।

২। ত্বকের পোড়া অংশ নিরাময় করে

মাঝে মধ্যেই কাজ করতে গিয়ে অনেকে হাত, পা বা দেহের অন্য কোন অংশ পুড়িয়ে ফেলেন। ত্বকের এই পুড়ে যাওয়া অংশ নিরাময় করতে আদা বেশ সহায়ক। তাজা আদার রস পোড়া অংশে দিয়ে রাখুন। এতে দ্রুত সেরে উঠবে। এছাড়া ত্বকের পোড়া অংশের দাগও দ্রুত চলে যাবে।

৩। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য

প্রতিদিন খানিকটা আদা কেটে নিয়ে ত্বকে ভালো করে ঘষুন। সারাদিন শেষে বাসায় ফিরে খানিকটা আদা কেটে হাত, গলা ও মুখে ঘষুন। এতে ত্বকের উপরিভাগের উজ্জ্বলতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। এতে করে ত্বকের দাগও চলে যাবে।

৪। চুল পড়া প্রতিরোধ ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে

আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে। গোসলের ২৫-৩০ মিনিট আগে তাজা আদার রস পুরো চুলে তেলের মতো করে লাগিয়ে নিন। মাথার ত্বকে চুলের গোড়ার দিকে লাগাবেন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে চুল পড়া ৭৫% পর্যন্ত কমে যাবে। আদার রস মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এতে নতুন করে চুল জন্মায় ও চুল হয় স্বাস্থ্যজ্জ্বোল।

৫। চুলের আগা ফাটা ও রুক্ষতা দূর করে

আদার তেল শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে নিয়ে তা দিয়ে চুল ধুলে চুলের আগা ফাটা এবং রুক্ষতা একেবারে দূর হয়ে যায়। এটি চুলের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। আদার তেল মার্কেটে না পেলে ঘরেই খুব সহজে বানিয়ে নিতে পারেন। ১ কাপ অলিভ অয়েলে বড় একটি আদা কুঁচি করে দিয়ে তেল গরম করুন। ফুটতে দেবেন না তেল। গরম হলে নামিয়ে নিন। এভাবে ৪/৫ বার করে তেল ঠাণ্ডা করে আদা তেল থেকে ছেঁকে নিয়ে তৈরি করে ফেলুন আদার তেল।