মুহাম্মদ তারিক জামিল
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সুন্দর আকৃতিতে। নিপুণ হাতে সাজিয়েছেন মানুষের প্রতিটি অঙ্গকে। যার ফলে মানুষ প্রাণীকূলের মাঝে অনিন্দ্য সুন্দর। অতপর মানবকূলকে ভাগ করা হয়েছে নারী-পুরুষে। আর প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য । ভিন্ন ভিন্ন রুচি । কাজের ক্ষেত্রেও যেমন রয়েছে ভিন্নতা। স্বভাব – প্রকৃতিতেও তেমন। এজন্যই নারী – পুরুষের মাঝে পোশাক আশাকেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। যেমন ছেলেরা পাজামা-পানজাবী আর মেয়েরা সেলোয়ার কামিজ।
ইসলামী শরিয়তেও পোশাক সম্পর্কে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা। যেমন ছেলেদের পোশাক হবে নাভি থেকে টাখনু পর্যন্ত। মেয়েদের হবে আপদমস্তক ঢাকা। আর এই নিয়মে পোশাক পরিধান করা ফরজও বটে। কিন্তু আমরা অনেকেই এ ব্যপারে উদাসীন। তাই তারা নাভির নীচ থেকে টাখনুর নীচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করে। অনেকের অবস্থা তো এই যে, সে পোশাক পরে হাটলে রাস্তায় ঝাড়ুর কাজ হয়ে যায়। অথচ এভাবে পোশাক পরিধান করা নিষেধ।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি অহংকার বশত টাখনুর নিচে জামা-পায়জামা ঝুলিয়ে ছেচড়িয়ে হাটে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে ফিরেও তাকাবেন না । উম্মুল মুমিনীন হযরত সালমা রাঃ বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাহলে তো মহিলাদের পা দেখা যাবে। তার প্রতি উত্তরে রাসূল বলেন, মহিলারা টখনু থেকে আরো এক বিঘা হাত ঝুলিয়ে দিবে। (বুখারী শরীফ-৫৭৮৪, মুসলিম শরীফ -২০৮৫)
এ থেকে দ্বারা বুঝতে পারি, টাখনুর নীচে মহিলারা ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করতে পারবে তবে পুরুষদের ঝুলিয়ে দেওয়া হারাম।
আসুন, আমরা পোশাক পরিধানে ইসলামের দিক নির্দেশনা মেনে চলি। এতে একদিকে আপনিও পরিচ্ছন্ন থাকতে পারছেন আর অন্যদিকে চলা ফেরাও হচ্ছে শালীন-মার্জিত। এছাড়া আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার অভিশাপ তো থাকছেই। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমীন।
Comments