লেখকঃ মিনহাজ উদ্দিন মোহাম্মদ মাসুম
“Love is a serious mental disease.” ― Plato
পৃথিবীর অনেক জটিল সমস্যা মূলত বিজ্ঞানের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এমনকি মানুষের আবেগ-অনুভূতি এবং অপ্রকাশমান সকল বিষয়কেও বিজ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ করা যায়। বিজ্ঞানের এই জনপ্রিয় শাখার নাম হল ‘মনোবিজ্ঞান’। এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকার ‘সাইকোলজি’ অনুচ্ছেদে মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দেওয়া আছে এভাবে-
“psychology is the science of individual or group behavior. The word ‘psychology’ literally means “study of the mind”;the issue of the relationship of mind and body is pervasive in psychology.”
আমাদের সমাজের তরুণ-তরুণীদের মাঝে বর্তমানে যে সমস্যা বা বিষয়টি সবচেয়ে গভীর থেকে গভীরে প্রবেশ করছে তা হল রিলেশনশিপ বা প্রেম।আর যারা রিলেশনশিপে জড়িয়ে যায় তাদের বেশিরভাগই আবেগ দ্বারা এতটাই প্রতারিত হয় যে তারা তখন পারিবারিক অনুশাসন এবং ধর্মীয় বাঁধাকেও তোয়াক্কা করে না। ধর্মকে তোয়াক্কা করে না এমন লোকের সংখ্যা আমাদের সমাজে অনেক আছে।কিন্তু বিজ্ঞানকে তোয়াক্কা করে না এমন মানুষ একদম নেই বললেই চলে।তাই এখানে ইসলামের অনুশাসন থেকে একটু দূরে এসে কেবল বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘প্রেম’ বিষয়টার ভঙ্গুরতাকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তরুণ-তরুণীদের যে পারস্পারিক অন্তরঙ্গতাকে আমাদের সমাজ স্বাদরে গ্রহণ করছে পবিত্রতার মাপকাঠি দিয়ে যাচাই করে, চলুন মনোবিজ্ঞানের আলোকেই বিশ্লেষণ করি সেই পবিত্র অনুভুতির প্রকৃত অবস্থান কোথায়।
[আবেগ-ভালবাসার কেন্দ্রঃ]
রোবটই আবেগ ছাড়া সব কাজ করতে পারে। আবেগহীন কাজ আর আচরণে মানুষকে মানায় না। রোবটের সাহায্যে অনেককিছু করানো গেলেও আবেগীয় উদ্দীপনাকে কর্মোদ্দিপনার সাথে সম্পৃক্ত করতে বিজ্ঞানীরা এখনও ব্যার্থ হয়ে চলেছেন। একারণেই বিভিন্ন গবেষণায় ইমোশনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ইমোশন ও মোটিভেশন পরস্পরের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে সম্পৃক্ত।
প্রথমে ইমোশন সৃষ্টি হয় তারপর এর সঙ্গে যুক্ত হয় মোটিভেটেড আচরণ। সফলতা অর্জনের একটি বড় সাঁকো হল ইমোশন সৃষ্ট মোটিভেটেড আচরণ। ইমোশনের সঙ্গে মোটিভেশনের সম্পৃক্ততার অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়।যেমনঃ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভালবাসা এবং মমতার সাথে যুক্ত থাকে যৌন আচরণ, ক্রোধ এর সাথে যুক্ত থাকে সহিংস আচরণ ইত্যাদি।
‘ইমোশন’ কথাটির বাংলা অর্থ আবেগ। আক্ষরিক অর্থে আবেগ হল মানুষের আলোড়িত অবস্থা। মা-বাবা,ভাই-বোন, বন্ধু-বন্ধু বা প্রেমিক-প্রেমিকা যে ধরনের ভালবাসার কথাই আমরা বলি না কেন সব কিছু একই ডোমেইন এর মধ্যে অবস্থান করে, আর তা হল ইমোশন+মোটিভেশন।
[বি-লাভ এবং ডি-লাভঃ]
মনোগবেষক আব্রাহাম মেসলো নিজস্ব গবেষণার মাধ্যমে ভালোবাসার অভিধানে দুইটি সম্পূর্ণ নতুন পরিভাষা যোগ করেন; বি-লাভ এবং ডি-লাভ।
তার মতে বি-টাইপের ভালবাসা হচ্ছে নিখুঁত ভালবাসা,এটি পরিণত ভালবাসা। উভয় নারী-পুরুষ যদি চারিদিক থেকে সমৃদ্ধ মনমানসিকতা নিয়ে পরিণত হতে পারে, উভয়ের ভুল-ত্রুটিকে মেনে নিতে পারে তাহলেই বিচ্ছুরিত হয় বি-টাইপের ভালবাসা, যা একমাত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নারীপুরুষের মধ্যেই সম্ভব।
অপরদিকে ডি টাইপের ভালবাসা অর্থ ডেফিসিয়েন্সি ভালবাসা। দুইজনের ভালবাসায় থাকে ঘাটতি। স্বার্থ নির্ভর এই ভালবাসায় নানা টানাপোড়ার সংঘাত তৈরি হতে থাকে।দুই জনের মনের মনস্তাত্ত্বিক মিলের ঘাটতি এক্ষেত্রে বেশীমাত্রায় লক্ষণীয়। এখানে থাকে খুঁত, কৃত্রিমতা। এই ধরনের ভালবাসার সাথে তরুণ-তরুণীদের পারস্পারিক অপূর্ণ ভালবাসার গভীর মিল পাওয়া যায়।
মূলত মানুষের শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানই তার আবেগীয় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। এমনই কিছু উপাদান হলঃ এমফিটামিন, ফিনাইল-ইথাইলামিন বা পী পদার্থ, নরইপিনেপ্রিন, এন্ডরফিন্স ইত্যাদি।
তরুণ-তরুণীদের মধ্যেকার ভালবাসা টিকে থাকার নজির খুবই বিরল। এসব রাসায়নিক পদার্থের আনুপাতিক পরিবর্তনের আলোকে একে সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়।প্রথম প্রথম যখন তরুণ-তরুণীরা রিলেশনে লিপ্ত হয় তখন তাদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি থাকে তীব্র আকুলতা। ‘পী পদার্থ’ মূলত এই আকুলতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু একই মুখ,একই চোখ এবং একই স্পর্শে পী পদার্থের নিঃসরণ মাত্রা দীর্ঘদিন একই রকম থাকে না। সময়ের পরিক্রমায় এটির নিঃসরণ মাত্রা এবং প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা হ্রাস পায়।ভালবাসার উত্তাল জোয়ারে তখন নেমে আসে ভাঁটির টান।এই পুলকের নিম্নগতি শুরু হলেই বিচ্ছেদের অশনিসঙ্কেত বেজে ওঠে। তাই তরুণ-তরুণীদের মন প্রতিনিয়তই নতুন কিছু খুঁজতে থাকে।
কিন্তু বিবাহিত নারী-পুরুষদের মধ্যে ভিন্ন ঘটনা ঘটে। মূলত এক্ষেত্রে দুজন মানব মানবী দীর্ঘদিন একসাথে থাকার কারণে একটি অদৃশ্য মায়ার বাঁধনে আটকে পড়ে। এই বাঁধনে শক্ত গিঁট এঁটে দেয় এন্ডরফিন্স নামক রাসায়নিক উপাদান এবং অক্সিটসিন নামক হরমন। ‘এন্ডরফিন্স’ দু’জনের মাঝে শান্তি, সৌম্য আর নিরাপত্তার অনুভূতি জাগ্রত করে। উম্মত্ততার ঢেউ জাগায় না। সাধারনত উত্তাল অনুভূতি তৈরি হয় কম বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে।
কম বয়সের প্রেম দ্রুত মিলিয়ে গেলেও নিঃশেষ হয়ে যায় না। এদের প্রেম পাত্র থেকে পাত্রে সঞ্চালিত হয়। নতুন মুখ, নতুন চোখ, নতুন হাঁসি তুমুল উদ্দীপনায় ব্রেনকে উদ্দীপ্ত করে। তখন নতুন করেই সমান মাত্রায় পী পদার্থের নিঃসরণ বেড়ে যেতে পারে। নতুন প্রেমের জোয়ার পুনরুদ্দমে এভাবেই চলে আসতে পারে। পক্ষান্তরে এন্ডরফিন্স এর কারণে ভালবাসায় স্থিতি আসে বিধায় স্বামী-স্ত্রী নিজেদের অনেক ভুলত্রুটি সয়ে নিতে পারে। হুট করে এদের ভালবাসা চলে যায় না, রঙও বদলায় না।
ভালোবাসাকে ‘পবিত্র’ বলে চিহ্নিত করে অনেকে তরুণ-তরুণীদের মধ্যেকার ভালোবাসাকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন।অথচ মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ আলাদা। মনোবিজ্ঞান বলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রেম-রোমান্স এর সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে কামের নেশা। এই নেশা প্রথমে থাকে লুকনো। সুযোগ ও সময় পেলেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। প্রেম ও কাম তাই বিলীন হয়ে থাকে একই মুদ্রার দু’পিঠে। তখন সবকিছু আর আবেগের গণ্ডির মধ্যে থাকে না।
মনোবিজ্ঞানের এই ধারণা যে আমাদের আধুনিক সমাজের সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্লার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো স্যানফর্ড বেল তার ‘A preliminary study of the emotion of love between sexes’বইয়ের ৩৩০ পৃষ্ঠায় বলেছেন, মানুষের সমগ্র জীবনকে সেক্সুয়াল অনুভুতির আদলে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম স্তর ৩-৮ বছর,দ্বিতীয় স্তর ৯-১৪ বছর,তৃতীয় স্তর ১৫ থেকে মেয়েদের জন্য ২২ এবং ছেলেদের জন্য ২৬ বছর। বাকি দুটো স্তর মানুষের মনমানসিকতার উপর নির্ভরশীল।
প্রথম দুই স্তরের তুলনায় তৃতীয় স্তরকে তিনি বেশি ক্রিটিক্যাল বলেছেন। এই স্তরের নারী-পুরুষের মাঝেই মূলত রিলেশন ভাঙা গড়ার একটা প্রবণতা দেখা যায় যা ইতোমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। দেহ ও মনের রসায়ন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কয়েকজন বিজ্ঞানী সাম্প্রতিক সময়ে প্রেমকে এক ধরনের উম্মাদনা বলে আখ্যায়িত করেছেন।প্রেমে আক্রান্ত নরনারী চিন্তা ও আচরণে যেন স্বপ্ন রাজ্যে ভেসে বেড়ায়। একটা ঘোড়ের মাঝে ডুবে থাকে সর্বদা।আচ্ছন্নতা গ্রাস করে তাদের সকল চাওয়া পাওয়া, গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড গুঁটিয়ে এসে যেন প্রেমিকার শরীরী অবয়ব ধারন করে। প্রেমের এই বিশিষ্টের সাথে মনোবিজ্ঞানীরা ‘Obsessive Compulsive Disorder (OCD)’-এর মিল দেখতে পেয়েছেন। এটি একটি মানসিক রোগ। OCD আক্রান্তদের মনে একই চিন্তা বার বার মনের মাঝে জেগে ওঠে। একই কাজ বার বার করতে বাধ্য হয়। যারা প্রেমে পড়ে তাদের ভেতরও একই চিন্তা, একই মুখ বার বার মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। একই উদ্বেগ অনুভূতি আশংকা মনের ভেতর ক্রমাগত ঘুরপাক খেতে থাকে।
উভয়ক্ষেত্রে কেবল বাইরের আচরণের মধ্যেই নয়, ব্রেন এর ভেতরগত রাসায়নিক উপাদানের মাঝেও একই ধরনের মিল লক্ষণীয়।
ইতালির পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেনোটেলা মারটিজি এবং যুক্তরাষ্ট্রের মলিকুলার বায়োলজিস্ট ডিন হ্যামারের গবেষণার ফলাফল থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়েছে যে, OCD আক্রান্তদের নিউরোট্রান্সমিটারে সেরোটোনিন এর মাত্রা কমে যায়, তেমনি প্রেমে আক্রান্ত নারী-পুরুষের ও সেরোটোনিন কম থাকে। আবার অধ্যাপক হ্যামারের গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ব্রেনে দীর্ঘদিন ধরে সেরোটোনিন কম থাকে তারা অস্বাভাবিকভাবে যৌনকাতর হয়ে থাকে। এদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেশি, যৌনক্ষমতাও বেশি।
একিস্কাল আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তার মতে রোমান্টিক মনের মানুষ আসলে সাইক্লোথাইমিক রোগী। তারা যখন উৎফুল্ল থাকেন, ব্রেনে সেরোটোনিন এর মাত্রা বেড়ে যায়, তখন দ্রুতই তারা প্রেমে পড়েন। যখন বিষণ্ণ থাকেন, সেরোটোনিন এর মাত্রা কমে যায়, তখন আত্মঘাতী মনোভাবও আসতে পারে তাদের মাঝে।
[কেসস্ট্যাডি]
এবার একটি কেসস্ট্যাডি দেখি। এটা আমার একটা ফ্রেন্ড এর কাহিনী।সে তার এক খালাতো বোন এর প্রেমে পড়ে।কিন্তু কখনও বলতে পারত না মেয়েটাকে। আবার তার প্রতি মেয়েটার ভক্তি দেখে সে ভাবতো মেয়েটাও হয়ত তার দিক থেকে পজিটিভ। মেয়েটা খুবই মিশুক টাইপের। তাই সবার সাথে মিশত, এমনকি তার ক্লাস এর ছেলেদের সাথেও। এসব দেখে আমার ফ্রেন্ডটা মোটেই সহ্য করতে পারত না। আবার এই ব্যাপারে মেয়েটাকে কিছু বলতেও পারতনা, যেহেতু মেয়েটাকে সে এখনও তার দুর্বলতার কথা বলেই নি। কিন্তু সব সময় মেয়েটার এই ব্যাপারগুলো তাকে খুব কষ্ট দিত। কিন্তু আমার বন্ধুটি যখন অন্যান্য মেয়েদের সাথে কথা বলত তখন তার খালাতো বোন কোন মাইন্ড করত না। আমার বন্ধুটা চাইত সে যেভাবে কষ্ট পেয়েছে ঠিক একই ভাবে মেয়েটিকে কষ্ট দিতে, কিন্তু কোন লাভ হতো না। এভাবে আমার বন্ধুটি মেয়েটার চিন্তায় তার পড়াশুনার জীবন পুরো নষ্ট করে ফেলে। কিন্তু ওদিকে মেয়েটার কোন খবর নেই।
[কেসস্ট্যাডির ফলাফল বিশ্লেষণ]
আমার বন্ধুটি আসলে প্যাথলজিক্যাল জেলাসিতে আক্রান্ত।এর আর এক নাম হল- ‘ওথেলো সিনড্রোম’। এটি একধরণের ডিল্যুশনাল ডিসওর্ডার। মেয়েদের তুলনায় পুরুষেরা এই বিষয়টিতে বেশি ভুগে। মহিলা ও পুরুষের এতে আক্রান্ত হওয়ার আনুপাতিক হার ১:৩.৭৬।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্যাথলজিকাল জেলাসি কয়েকটি প্রাথমিক রোগের সাথেও সংযুক্ত থাকতে পারে। এ ধরনের রোগীদের ১৭-৪৪% এর সঙ্গে প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়া,৩-১৬% এর সঙ্গে ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার, ৩৮-৫৭% এর সঙ্গে নিউরোসিস এবং পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার, ৫-৭% এর সঙ্গে এলকোহলিজম এবং ৬-২০% ক্ষেত্রে অরগানিক ডিসঅর্ডার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্যাথলজিকাল জেলাসির ফলে ভয়াবহ সহিংসতা ঘটে যেতে পারে। ব্রিটেনে ব্রডমুর হাঁসপাতালে ভর্তিরত ঘাতক রোগীদের (homicidal patients) ওপর পরিচালিত এক গবেষণা রিপোর্টে ডঃ মোয়াট দেখিয়েছেন, এদের মাঝে ১২% মহিলা এবং ১৫% পুরুষ প্যাথলজিকাল জেলাসিতে আক্রান্ত ছিল। এমনও দেখা গেছে ক্রমাগত তীব্র সন্দেহের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে।
উপরের কেসস্ট্যাডি এবং তার পর্যালোচনা থেকে এ কথা স্পষ্ট যে অনেক মানসিক ভয়াবহ রোগের সাথে প্রেমের যোগাযোগ রয়েছে। ভালবাসা এক ধরনের পজিটিভ ইমোশন এই ব্যাপারে কেও আপত্তি করবে না। মূলত মানুষে মানুষে পারস্পারিক ভালবাসার ফলেই পৃথিবী টিকে আছে।কিন্তু মনোবিজ্ঞানের কোথাও তরুণ-তরুণীদের পারস্পারিক ভালবাসার কোন স্থান নেই এবং মনোবিজ্ঞান মনে করে এই ভালবাসার ফলাফল সমাজ এবং ব্যাক্তি জীবনের জন্য অসহনীয়। এতে ভালবাসায় লিপ্ত প্রেমিক-প্রেমিকারা যতই আপত্তি করুক আর প্রতীবাদ জানাক তাতে কোন কিছুই তাদের অনুকূলে যাবে না।
Comments